• রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০৫:২২ অপরাহ্ন

নিউমোনিয়ার হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন ঘরোয়া টোটকায়

সংবাদদাতা / ২৫৫ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২২

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ- ফুসফুসের সংক্রমণের প্রভাবে যে সব অসুখের হানা আমাদের হয়ে থাকে, তাদের মধ্যে অন্যতম নিউমোনিয়া। এই অসুখে সর্দি কাশির পাশাপাশি, ফুসফুসে প্রদাহ তৈরি হয়। বাড়াবাড়ি হলে অনেক সময় জলও জমে ফুসফুসে। স্ট্রেপ্টোকক্কাস নিউমোনি নামের ব্যাকটেরিয়া এই রোগের অন্যতম কারণ হলেও অন্যান্য ভাইরাস বা ছত্রাকের প্রভাবেও এই অসুখ দানা বাঁধে শরীরে। ঋতু পরিবর্তনের সময় হঠাৎ ঠান্ডা লাগা, বুকে সর্দি জমে থাকার মতো সাধারণ, অতি নগণ্য কিছু লক্ষণের সূত্র ধরেই এই রোগ তার শিকড় ছড়ায়। প্রথম থেকে চিকিৎসা না করলে তা বড় আকার ধারণ করতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি, ঘরোয়া কিছু খাবারেও নিউমোনিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

১) আদাঃ প্রদাহ নাশকারী এবং অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল যৌগে ভরপুর আদা, নিউমোনিয়া সৃষ্টিকারী জীবাণুগুলির সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে যদি বুকে ব্যথা হয়, সেই সময় আদা চা খেয়ে দেখতেই পারেন। ২) হলুদঃ সামগ্রিক ভাবে শ্বাসযন্ত্র ভাল রাখতে সাহায্য করে হলুদ। ঠান্ডা লেগে বুকে কফ জমলে হলুদের গুঁড়ো মেশানো চা খেলে অনেকটাই আরাম মেলে। এ ছাড়াও হলুদের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি গুণ শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করে। ৩) মধুঃ সর্দি কাশি হলে অনেক বাড়িতেই মধু খাওয়ানো হয়।নিউমোনিয়া হলে প্রত্যক্ষ ভাবে মধু কোনও সাহায্য না করলেও, রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে মধু বিশেষভাবে সহায়ক। ৪) প্রোবায়োটিকঃ নিউমোনিয়া সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ‘প্যাথোজেন’- এর বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম প্রোবায়োটিক। প্রাকৃতিক ভাবে দইয়ের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে প্রোবায়োটিক পাওয়া যায়। তাই প্রতি দিনের খাবারে দই বা ইয়োগার্ট রাখলে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে। ৫) লেবুঃ ভিটামিন সি যুক্ত যে কোনও ফলই প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। যে কোনও ধরনের লেবুতেই যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন সি মজুত থাকে। তাই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে বেশি করে লেবু খেতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।#


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...